সত্য অনুধাবন করতে বিলম্ব করলে অনেক কিছুই ঘটে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিএমএ নেতারা। সোমবার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে বিএমএ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের নেতারা বলেন, দুয়েকটি বিষয় ছাড়া চিকিৎসদের নিরাপত্তায় ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে সরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী সারাদেশের সকল চিকিৎসকদের জন্য পিপিই দরকার নেই বলে মন্তব্য করেন চিকিৎসক নেতারা।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সংবাদ সম্মেলন। তবে এ ইস্যুতেই প্রশ্ন করলে অনেকটাই ক্ষেপে যান বিএমএ সভাপতি। তার দাবি, সামান্য দুর্বলতা ছাড়া নিরাপত্তায় ভালোই প্রস্তুতি রয়েছে।
বিএমএ সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, প্রস্তুতি যদি নাই থাকতো তাহলে মৃত্যু সংখ্যা এত কম কেন। এটাও আপনাদের বুঝতে হবে।
এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের অনেক প্রশ্নেরই স্পষ্ট জবাব দেন নি চিকিৎসক নেতারা। তাদের দাবি দেশে কোন পিপিই সংকট নেই, উদ্দেশ্য প্রণোদিত গুজব ছড়াচ্ছে একটি মহল।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. আব্দুল আজিজ বলেন, পর্যাপ্ত পিপিই আছে, ভিন্ন মতাবলম্বীরা গুজব ছড়াচ্ছে।
বক্তব্যে বার বারই ইতালি, চীনসহ মহামারি ছড়িয়ে পড়া দেশগুলোর উদাহরণ টানেন বিএমএ নেতারা। তবে তাদের কাছে শিক্ষা নেওয়ার আছে কি না, এর জবাবে বলেন, তারা শুধু পরামর্শই দিতে পারেন সরকারকে।
বিএমএ মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল বলেন, সত্য অনুধাবন করে বিলম্ব ঘটলে অনেক কিছুই করতে পারেন। সেটাও আমরা সরকারকে বুঝানো চেষ্টা করছি।
দেশে মহামরি ছড়িয়ে পড়লে বিএমএ চিকিৎসকদের পাশে দাড়াবে আশ্বাস দেন চিকিৎসক নেতারা।